তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলাম, কেন এই সিদ্ধান্ত?
তৃণমূল কংগ্রেস সাসপেন্ড করল ভাঙরের আরাবুল ইসলাম ও ডা. শান্তনু সেনকে। এই সাসপেনশন নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানকে কেন্দ্র করে মূলত বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়ে দেন, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরাবুল ইসলাম ও শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দলবিরোধী কাজের জন্য এই দুই নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শান্তনু দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বলেই খবর। সাসপেন্ড হওয়ার পর শান্তনু সেন বলেছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সেনাপতি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। আজও বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছি। তার ৩ ঘন্টার মধ্যে সাসপেন্ড হয়েছি। আমি নাকি আন্দোলনটাকে উসকে দিয়েছি। এখানে থামেননি প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেছেন, আমি বুঝেই উঠতে পারছি না, দলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করলাম! সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দলের কথা ভেবেছি। পেশার কাজের বাইরে কেবল তৃণমূলের কাজ করেছি। তার পরেও কেন এই পদক্ষেপ, বুঝতে পারছি না।এদিকে জামিন পাওয়ার পরও ভাঙড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েন আরাবুল ইসলাম। গত ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময় গোষ্ঠীসংঘর্ষে জড়ান আরাবুল। প্রাক্তন বিধায়ককে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর কর্মীরা। বিধায়ক শওকত মোল্লার ভাঙড় দখল করে দাদাগিরি করতে চাইছে বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন শান্তনু সেন। আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেনের অবস্থানের পর তাঁকে তৃণমূলসের মুখপাত্র পদ থেকে সরানো হয়, তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডক্টর সামিটের মূল হোতা ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকেই সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনুর বক্তব্য, বারবার দল পাল্টাইনি। আমি কখন দলবিরোধী কাজ করলাম? আমার নেতৃত্ব সেটা বলে দিলে ভালো লাগতো। আমার বিরুদ্ধে ভুল বোঝানো হয়েছে। এদিন কংগ্রেস থেকে ভায়া বিজেপি হয়ে দলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এই সাসপেন্ড ঘোষণা করায় কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।